1
গাড়ির জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব সঠিক গতি বজায় রাখা, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, টায়ারের চাপ ঠিক রাখা, এসি কম ব্যবহার, ওজন কমানো এবং গিয়ার সঠিকভাবে ব্যবহার করে। এই ১০টি সহজ কৌশল মেনে চললে জ্বালানি ব্যয় কমানো যায় এবং গাড়ির কর্মক্ষমতা বাড়ে
গাড়ির এসি ঠিকমতো কাজ করতে নিয়মিত সার্ভিসিং করা জরুরি। সাধারণত প্রতি ৬ মাস থেকে ১ বছর অন্তর এসি সার্ভিস করানো উচিত। এতে এসির গ্যাস রিফিল, ফিল্টার ক্লিনিং ও যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করা হয়, যা এসির কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং দুর্গন্ধ ও ঠান্ডা না হওয়ার সমস্যা কমায়।
বাংলাদেশে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় চালকদের গতি সীমা, ওভারটেকিং নিয়ম, ডান লেন ব্যবহার, সিগন্যাল এবং জরুরি ব্রেক ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক। হেলমেট ও সিটবেল্ট পরিধান, মোবাইল ব্যবহার না করা এবং গাড়ির ফিটনেস যাচাই করাও অত্যন্ত জরুরি। নিরাপদ ভ্রমণের জন্য এ নিয়মগুলো জানা এবং অনুসরণ করা চালকের দায়িত্ব।
গাড়ির ওয়াইপার ট্যাঙ্কে পানি ঢালার জন্য হুড খুলে নির্দিষ্ট বোতলে বিশুদ্ধ পানি বা ওয়াশার ফ্লুইড ঢালতে হয়। ঢাকনা বন্ধ করে স্প্রে কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করুন। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে পরিষ্কার ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত হয়
গাড়ির এসি কাজ না করলে অনেকেই হতাশ হয়ে যান। তবে চিন্তার কিছু নেই—সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে সমস্যাটি সমাধান করা সম্ভব। আধুনিক গাড়িগুলোর এসি সিস্টেম অনেকটা জটিল হলেও দক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা সহজেই নির্ণয় ও মেরামত সম্ভব। এসি শুধু আরাম দেয় না—বৃষ্টির দিনে কাঁচ পরিষ্কার রাখতেও সহায়তা করে, তাই এর গুরুত্ব অবহেলা করা উচিত নয়।
গাড়ির সবচেয়ে বড় সমস্যা সাধারণত ইঞ্জিন, ট্রান্সমিশন, ব্রেক সিস্টেম, ওভারহিটিং ও ইলেকট্রিক্যাল ত্রুটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এসব সমস্যার কারণে গাড়ি অচল হয়ে পড়তে পারে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও বিশেষজ্ঞ মেকানিকের সহায়তায় এসব সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব
জলাবদ্ধ রাস্তায় গাড়ি চালানোর আগে রুট যাচাই, পানির গভীরতা পরিমাপ, ধীর গতিতে ও সতর্কতার সঙ্গে চালানো গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাচ কন্ট্রোল, হ্যাজার্ড লাইট, ও রাস্তার ট্র্যাক অনুসরণ করলে ঝুঁকি কমে। পানি ঢুকলে ইঞ্জিন স্টার্ট না দিয়ে নিরাপদ স্থানে অপেক্ষা করাই উত্তম। চালানোর পরপরই গাড়ি পরীক্ষা করান এবং প্রয়োজনে মেকানিক দেখান।
গাড়ির ইঞ্জিন সিজ হওয়া মানে হলো ইঞ্জিনের অভ্যন্তরের যন্ত্রাংশগুলো আটকে গিয়ে আর ঘুরতে না পারা, যা সাধারণত ঘর্ষণ, অতিরিক্ত তাপ বা তেলের ঘাটতির কারণে ঘটে। ইঞ্জিন সিজ হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:
এই লেখায় গাড়ির ইঞ্জিন টেম্পারেচার হঠাৎ বেড়ে গেলে কী করণীয়, তার কারণ ও প্রতিকার বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সঠিক পদক্ষেপ ইঞ্জিনকে বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
গাড়ির ব্রেক ফেল হওয়া একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে আগেভাগেই কিছু সংকেত দেখে তা এড়ানো সম্ভব। এই লেখায় এমন ৮টি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত আলোচনা করা হয়েছে—যেমন অস্বাভাবিক শব্দ, ব্রেক প্যাডের ক্ষয়, ওয়ার্নিং লাইট জ্বলা, ব্রেক ফ্লুইড কমে যাওয়া, কিংবা গাড়ি ব্রেক করলে টান পড়া ইত্যাদি। এসব লক্ষণ সময়মতো বুঝে পদক্ষেপ নিলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়। আপনার ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য এই সংকেতগুলো জানা ও খেয়াল রাখা জরুরি।
গাড়ির রেডিয়েটর ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে ঠান্ডা রাখে। গরম কুল্যান্ট রেডিয়েটরের ছোট টিউব ও ফ্যানের সাহায্যে ঠান্ডা হয় এবং পুনরায় ইঞ্জিনে ফিরে যায়। এটি ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গাড়ির এসি চালিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে হলে স্মার্ট ব্যবহার ও নিয়মিত সার্ভিসিং প্রয়োজন।
গাড়ির ব্রেক ফেল হলে আতঙ্কিত না হয়ে গিয়ার ডাউন করে গতি কমান, হ্যান্ডব্রেক ধীরে টানুন এবং নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামানোর চেষ্টা করুন
সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ — অদক্ষ চালক। একজন দক্ষ চালক শুধু গাড়ি চালাতে জানেন না, বরং ট্রাফিক আইন মেনে চলেন, সচেতন, ধৈর্যশীল এবং দায়িত্ববান। দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ চালক তৈরির গুরুত্ব, তাদের বৈশিষ্ট্য ও করণীয় বিষয়গুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
একটি গাড়ি শুধু যাতায়াতের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের নিরাপত্তা ও জীবনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। প্রতিদিন গাড়ি চালানোর আগে মাত্র ৫-১০ মিনিট সময় নিয়ে যদি কিছু মৌলিক বিষয় চেক করে নেওয়া হয়, তাহলে দুর্ঘটনা, যান্ত্রিক সমস্যা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। বিশেষ করে যারা দীর্ঘপথে বা হাইওয়েতে যান, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি।
অনলাইনে বা এসএমএসের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা সম্ভব। BRTA DL Checker App অথবা 26969 নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে লাইসেন্সের মেয়াদ, ইস্যুর তারিখ ও বৈধতা যাচাই করা যায়। এখানে ধাপে ধাপে লাইসেন্স চেক করার নিয়ম ও করণীয় তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর, শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট আবশ্যক। তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। লাইসেন্স ফি এবং প্রশিক্ষণ সম্পর্কে BRTA ওয়েবসাইটে বিস্তারিত পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এটি বাংলাদেশের রোড ট্রান্সপোর্ট খাতের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে থাকে। বিআরটিএ প্রধানত যানবাহনের নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, যানবাহনের ফিটনেস সনদ প্রদান এবং সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে।
বাংলাদেশের বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া এবং ই- ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোডের ধাপসমূহ নিয়ে লেখা। মূল বিষয়সমূহ:বিআরটিএ কর্তৃক ই-পেপার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান,ডাউনলোডের নিয়ম ও প্রক্রিয়,আবেদন ফি, পেমেন্ট এবং কিউআর কোড ব্যবহার,৭২ ঘণ্টার মধ্যে ই-পেপার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সে ভুল সংশোধন করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে। সংশোধনের জন্য কোন কাজগ প্রয়োজন এবং কীভাবে আবেদন করতে হয় দ্রুত ও সহজভাবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদন প্রক্রিয়া, অনলাইন এবং সরাসরি অফিসে আবেদন করার ধাপ, দ্রুত লাইসেন্স পাওয়ার টিপস, এবং সাধারণ ভুলগুলো এড়ানোর কৌশল বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
BRTA‑র ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার মৌখিক (ভাইভা) ধাপের প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষার ধাপ, সাধারণ প্রশ্ন, ট্রাফিক সাইন ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়, এবং কীভাবে সংক্ষিপ্ত ও সঠিক উত্তর দেয়া যায় এগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও, পরীক্ষায় সফল হতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও কৌশলগুলোও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
একজন আদর্শ চালক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নিরাপদ ও দক্ষ ড্রাইভিংয়ের জন্য চালকের মধ্যে থাকতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতা, ট্রাফিক আইন মেনে চলা, দায়িত্ববোধ, যান্ত্রিক জ্ঞান, আত্মবিশ্বাস এবং ধৈর্য্য। এসব গুণ একজন চালককে শুধু দক্ষই নয়, বরং যাত্রী ও সড়কের জন্য নিরাপদ করে তোলে।
বাংলাদেশে নিরাপদে ওভারটেকিং করার সঠিক নিয়ম, সংকেত দেওয়া, ডান দিক দিয়ে ওভারটেক ও নিষিদ্ধ স্থানে সতর্ক থাকার নির্দেশিকা।
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা কিভাবে দিতে হয়, প্রয়োজনীয় নথি ও ধাপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।যথা: লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা।
বিআরটিএ নতুন প্রজ্ঞাপন ভিসা প্রসেসিং, বিদেশে ব্যবহার, চাকুরিতে নিয়োগ ইত্যাদি প্রয়োজনে মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড ও 'ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স' উভয়ই সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে।
বিআরটিএ (BRTA) সার্ভিস পোর্টাল নিবন্ধন থাকলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন, লাইসেন্সের নবায়ন, যানবাহনের মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস সহ বিভিন্ন গ্রাহক সেবা খুব সহজে পাওয়া যায়।
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে মোট ৪২১২ টাকা অনলাইনে জমাদিতে হবে। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে ০১ (এক) দিন থেকে ০১ (এক) বছর পর্যন্ত মেয়াদ উত্তীর্ণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জরিমানা হবে ৫১৮/- টাকা।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স করুন অনলাইনে ২০২৫ সালে মাত্র পাঁচটি ধাপে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল থেকে। আবেদনের ধাপগুলো বিস্তারিত দেওয়া হলো।